CBI এর তথ্য : প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত চাঞ্চল্য পূর্ণ একটি তথ্য প্রকাশ করল CBI । প্রাথমিক নিয়োগের জন্য যে সমস্ত প্রার্থীরা বাঁকা পথে এসেছিল তাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে ভুয়ো ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করেছিল বলে দাবি সিবিআই এর একাংশের। তাদের দাবি এই ইন্টারভিউ টি ছিল কেবলমাত্র লোক দেখানো, যদিওবা এই ইন্টারভিউ টি শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়েই কিন্তু সংগঠিত হয়েছিল।
প্রাথমিকে টাকার বিনিময়ে চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য CBI এর : এই তথ্য থেকে উঠে আসা সাম্প্রতিক ইন্টারভিউ এর প্রার্থীদের নামের তালিকাটি পরবর্তী মামলাতে পেশ করা হবে এরকমটাই কিন্তু জানিয়েছে। তদন্তকারীরা এমনও জানিয়েছি এই ইন্টারভিউ এর মধ্য দিয়ে প্রায় 10 থেকে 15 কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এবং চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার জনকে।
গত সপ্তাহে তদন্তকারীরা বিকাশ ভবনের একটি ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নথি তারা উদ্ধার করে। এবং ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি যা নথীর কথা আগেই জানিয়েছিলেন একাধিক আধিকারিকরা। সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ এর ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রার্থীদের খোঁজ করার সূত্রই এই ঘরে থাকা নথি যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছিল সিবিআই। আর সেখান থেকেই উঠে আসে প্রাথমিক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রার্থীদের নামের তালিকা।
সিবিআই সূত্রে এমনও জানানো হয়েছে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা তাপস মন্ডল ও কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ভুয়া ইন্টারভিউ এর সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এবং এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য
CBI এর দাবি: তাপস রায়ের বয়ান থেকেই জানা গিয়েছিল কুন্তল ঘোষ হাজার খানের অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে অগ্রিম নিয়েছিল কিন্তু তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেনি। পরে শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা ও কর্মী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করেছিল। এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে কয়েক মাস ধরে এই ভুয়ো ইন্টারভিউ পরিচালিত হয়।